TOP GUIDELINES OF অসমাপ্ত জীবনের গল্প

Top Guidelines Of অসমাপ্ত জীবনের গল্প

Top Guidelines Of অসমাপ্ত জীবনের গল্প

Blog Article

এই এক বছর আগে মাম শুধু আমার ছিল কিন্তু এখন………এখন সে অন্য কারোর সম্পত্তি । যখন আমার বাড়ি থেকে অপমান করে মাম কে তাড়িয়ে here দিয়েছিল তখন মাম কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে শেষ করতে গেলে ওর ছোট বেলার বন্ধু শুভম ওকে বাঁচিয়েছিল। সেই খারাপ সময় আমি ওর পাশে থাকতে পারিনি কিন্তু শুভম ওর ভরসা হয়ে উঠেছিল। ওর বাড়ির লোকও শুভম কে খুব পছন্দ করত তাই এক কথায় জোর করেই কোন এক মন্দিরে গিয়ে মাম এর বাবা-মা , মামের সাথে শুভম এর বিয়ে দিয়ে দেয়।

মেয়েটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে ফুলটা হাতে নিয়ে বললো, থ্যাংককিউ। ছেলেটি বললো আমি থ্যাংককিউ নেবনা। মেয়েটি বললো তাহলে কি চাও? ছেলেটি বললো আগামীকাল বলবো।

“জীবনের বিভিন্ন সময় আমরা হয়ত অনেক বন্ধু পাবো, কিন্তু স্কুল জীবনে পাওয়া বন্ধু গুলো সারা জীবন পাশে থেকে যায়।”

তোমার আম্মু-আব্বু এলে আমি তাদের সাথে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে এসেছিলাম। এবং ১ দিন পর যখন আবার হাসপাতালে তোমায় দেখতে গেলাম তখন তোমার আম্মু ও আব্বুকে দেখলাম লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক কান্না করছেন। তাই আমি কি হয়েছে তা জানার জন্য তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। কিন্তু আন্টি আমায় তখন যা বলেছিলেন তা শুনে আমার সে সময় পা থেকে জেনো মাটি সরে গিয়েছিলো। আন্টি আমায় তখন বলেছিলেন যে’ডাক্তার নাকি বলেছে তোমার দুটো কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে।

যাদের ভাবনায় সমৃদ্ধ হয়েছে ছাড়পত্রের পাঠক।

কে আ...

সে বলল ,আপনাদের কি কখনো খুঁজে পাওয়া যায়? আপনারা কে কোথায় থাকেন বুঝাই যায়না”। বলে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।

আমার নানাভাই তার সব নাতি-নাতনির ভিতরে আমাকে একটু স্পেশাল আদর করতেন। নানাভাই হাট থেকে ফেরার সময় প্রতিদিন সব নাতিনাতনীর জন্য মিষ্টি নিয়ে আসতেন। সবার জন্য একটা বড় প্যাকেট যেটা আমার নানীর হাতে দিয়ে বলতেন সবাইকে ভাগ করে দাও। আর আমার জন্য থাকতো স্পেশাল প্যাকেট। সাথে স্পেশাল স্পেশাল মিষ্টি। আমার স্পেশাল প্যাকেটের প্রতি সবারই খুব নজর থাকতো। আমিও ছোটবেলায় অনেক লক্ষ্মী ছিলাম। সবাই কে দিয়েই খেতাম। কিন্তু মুরাদ ভাইয়ের সেই ভাগ করে দেয়াটা পছন্দ নয়। সে পুরো প্যাকেটটাই  দাবি করে বসতো। প্রায় দিনই সে আমার প্যাকেটটা টান মেরে  নিয়ে চলে যেত। একদিন আমার খুব রাগ হল, আমি তাকে প্যাকেটটা দিতে চাইলাম না। খুব জোরাজুরি করার পরও সে যখন প্যাকেটটা আমার হাত থেকে নিতে পারল না, তখন সে আমাকে দুই গালে দুইটা থাপ্পড় মেরে খুব জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। ধাক্কা খেয়ে পড়ে উঠানে থাকা বালতির সাথে লেগে আমার কপাল অনেকখানি কেটে গেল। আমার কপাল থেকে রক্ত বের হতে দেখে সে ঝেড়ে দৌড় দিয়ে এই যে গেল সারাদিনে আর তার কোন খবর পাওয়া গেল না।

(রক্তিমের কথা শুনে এবার দিশা কান্না করা বন্ধ করে দিলো) তারপর…….

আজকে তোমার এই সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার জন্য তোমার আজকে এই অবস্থা। আমার জীবন বাঁচাতে গিয়েই আজকে তুমি মরতে বসেছো। কেনো করলে তুমি এমন বলোকেনো করলে। (এই বলে আবারো রক্তিমকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো…)

আরে ‘তুমি কান্না করছোকেনো। আরকেনই বা আমার কাছে ক্ষমা চাইছো!

শুভ জন্মদিন। তোমাকে তোমার জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। জানিনা আমার গিফটের বক্সটা তুমি খুলে দেখবে কি না। তারপরেরও অনেক আশা নিয়ে আমার নিজের হাতে আঁকা ভালো না হলেও মনের গহিন থেকে তোমার একটা ছবি একে তোমার কাছে গিফট হিসেবে পাঠালাম। ছবিটা একটু দেখো। আর শোনো ‘তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো পারলে একটু সময় করে পড়ে নিয়ো। যানো আমি না সেই ছোট্ট বেলা থেকে মা-বাবা কারো আদর পাইনি। এক কথা বলতে গেলে বলা যায় আমি এতিম। ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে বড় হই আমার এক মামির কাছে। কিন্তু আল্লাহ ‘মনে হয় আমার কপাঁলে সেই সুখটাও লেখেন নি।

আচ্ছা ঠিক আছে। এখন আগে তোমার কান্না থামাও তো। আর আমার কথা গুলো শোনো।

আবার পুনরায় আমাদের পরিবার অস্বীকার করলো আমাদের সম্পর্ককে। নিজেদের সন্মান রক্ষা করতে মামের বাবা-মা, মাম কে শশুর বাড়ি পাঠিয়ে দিল। জেদের বসে মেয়েটা আর ফিরলো না নিজের বাড়িতে এমনকি আমার কাছেও । জানেন ওর মৃদু হাসিটা প্রমাণ দেয় ও ভালো নেই, ওর হাতের দাগও প্রমাণ করে দেয়, যে ওর উপর অনেক নির্যাতন করা হয়। তাও ফেরেনি ও , আর ফিরবেও না। আমি প্রেমিক হয়েই না হয় দুর থেকে ওর খেয়াল রাখবো। তবে আমি ওর জন্য অপেক্ষা করবো, হ্যাঁ এভাবেই করবো আমরণ কাল অব্দি ….

Report this page